সোমবার, ১৮ আগস্ট, ২০১৪

মেটালিকা BAND

Metallica at The O2 Arena London 2008.jpg


মেটালিকা একটি আমেরিকান হেভি মেটাল ব্যান্ড যা ১৯৮১ সালে লস এ্যাঞ্জেলস, ক্যালিফোর্নিয়াতে গঠিত হয়। ড্রামার লারস উলরিচ স্থানীয় একটি পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিলে ব্যান্ডটি গঠিত হয়। ব্যান্ডটির প্রাথমিক লাইন-আপ ছিল ড্রামসে লারস উলরিখ, রিদম গিটার ও ভোকালে জেমস হেটফিল্ড, লিড গিটারে কারক হ্যামেট এবং বেজ গিটারিস্ট ছিলেন পরলোকগত ক্লিফ বারটন।বেজ গিটারিস্ট বারবার পরিবর্তন হয়েছে। বর্তমানে আছেন রবার্ট ট্রুজিলো।

 

ইতিহাস

১৯৮৬ সালে মাস্টার অব পাপেট অ্যালবামটি প্রকাশের সাথে সাথে তাদের আন্ডারগ্রাউন্ড ভক্ত ও সমালোচকদের সুদৃস্টি গড়ে ওঠে। ব্যান্ডটিকে প্রথম ৪টি বড় থ্রাশ মেটাল ব্যান্ডের মধ্যে (স্লেয়ার, মেগাডেথঅ্যানথ্রাক্স) অন্যতম ধরা হয়ে থাকে। মেটালিকা ২টি লাইভ অ্যালবাম, ৪৫টি সিংগেলস, ২৪টি ভিডিও, ২টি ইপি এবং ৯টি স্টুডিও অ্যালবাম প্রকাশ করেছে। তাদের ৫ম অ্যালবাম বিলবোর্ডের ১ম স্থান দখল করে, যা তাদের মূলধারার শ্রোতাদের কাছাকাছি নিয়ে আসে। মেটালিকা ৯টি গ্রামি এডওয়ার্ড জিতে নেয়। ১৯৯১ সালে মেটালিকার 'ব্ল্যাক' অ্যালবাম ১৫ মিলিয়ন কপি আমেরিকায় ও ২২ মিলিয়ন কপি সারা বিশ্বে বিক্রি হয় যা ছিল ২৫তম সর্বাধিক বিক্রিত অ্যালবাম। তাদের সর্বশেষ অ্যালবাম ডেথ ম্যাগনেটিক ১০০ মিলিয়ন কপি বিক্রি হয় সারা পৃথিবীতে। এ পর্যন্ত তাদের ৫,২২,৭১,০০০ কপি অ্যালবাম শুধুমাত্র আমেরিকাতে বিক্রি হয়েছে।

গঠন

লারস উলরিচ বিজ্ঞাপন দেন পত্রিকায় যে একজন ড্রামার জ্যাম করার জন্য অন্যান্য মিউজিশিয়ান খুজছে। বিজ্ঞাপনে সাড়া দেন জেমস হেটফিল্ড। লারস উলরিচ ব্রায়ান স্লাগেলকে অনুরোধ করেন মেটাল ম্যাসাকার প্রজেক্টের জন্য তাদের গান রেকর্ড করে দিতে যদিও তখনও ব্যান্ডটি গঠিত হয়নি। ২য় বিজ্ঞাপনটি প্রকাশিত হয় দ্যা রিসাইকেলার নামের খবরের কাগজে একজন লিড গিটারিস্ট পাওয়ার জন্য। ডেভ মাস্টেইন উত্তর দেন বিজ্ঞাপনের। তার দামী গিটার দেখে লারস উলরিচ ও জেমস হেটফিল্ড তাকে লিড গিটারিস্ট হিসেবে নিয়োগ দেন। ১৯৮২ সালে মেটালিকা হিট দ্যা লাইটস নামের প্রথম গান রেকর্ড করে মেটাল ম্যাসাকার ১ প্রজেক্টের জন্য।জনি যে জাজুলা নামের একজন কনসার্ট আয়োজক তাদের প্রথম অ্যালবাম প্রকাশে রাজী হয় টাকা ধার করে তার নিজস্ব রেকর্ড মেগাফোর্স রেকর্ড থেকে। ব্যান্ড সদস্যরা ডেভ মাস্টেইনকে ব্যান্ড থেকে বাদ দিতে সম্মত হন তার অ্যালকোহলে আসক্তি ও আক্রমণাত্নক আচরণ দেখে। এক্সোডাস গিটারিস্ট কিরক হ্যামেট ঐদিন বিকালেই যোগ দেন ব্যান্ডে। ডেভ মাস্টেইন মেগাডেথ নামের ব্যান্ড গড়ে তোলেন এবং বলেন যে কিরক হ্যামেট তার চাকরী চুরি করেছে ও তার লেখা গিটার লিড চুরি করে জনপ্রিয় হয়েছে। মেটালিকা বলে যে ডেভ মাস্টেইন মাতাল ও গিটার বাজাতে জানে না।তাদের প্রথম অ্যালবাম কিল এ্যাম অল প্রকাশের পর তেমন বাণিজ্যিক সাফল্য না পেলেও অনেক ভক্ত গড়ে তোলে আন্ডারগ্রাউন্ডে। ১৯৮৪ সালে ভেনম ব্যান্ডের সাথে মেটালিকা কনসার্ট করে হল্যান্ড-এ প্রায় ৭,০০০ লোকের সামনে। তাদের রাইড দ্যা লাইটেনিং অ্যালবাম ডেনমার্ক-এ রেকর্ড হয় এবং বিলবোর্ডের ১০০তম স্থান দখল করে, ১৯৮৬ সালে ব্যান্ডের বেজিস্ট বারটন গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যায়।অডিশনে প্রায় ৪০ জনের মধ্য থেকে নিউস্টেডকে নতুন বেজিস্ট হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।

বাণিজ্যিক সাফল্য

১৯৮৮ সালে প্রকাশিত এ্যান্ড জাস্টিস ফর অল অ্যালবামটি বাণিজ্যিক সাফল্য পায় বিলবোর্ডের ৬ষ্ঠ স্থান দখল করে। ১৯৮৯ সালে সবাই ধারণা করেছিল যে মেটালিকা গ্রামি পাবে। মেটালিকা তাদের ওয়ান গানটি পরিবেশনের পর মঞ্চের পেছনে দাঁড়িয়ে ছিল গ্রামি নেওয়ার জন্য, কিন্তু সেটা পায় জেথ্রও তুল ক্রেস্ট অব আ নেভ অ্যালবামের জন্য। মেটালিকা তাদের প্রথম মিউজিক ভিডিও ওয়ান গানটির জন্য বানায় যা জনি গট হিজ গান সিনেমার ফুটেজের সাথে মিশ্রিত ছিল। গানটি ৩৮তম স্থান দখল করে এমটিভি ১০০ সর্বকালের টপ ভিডিও তালিকায়। ১৯৯২ সালে গানস এ্যান্ড রোজেস ব্যান্ডের সাথে সফরের সময় জেমস হেটফিল্ড আগুনের আঘাতে আহত হন এবং বাহুতে, হাত, মুখে পোড়া আচ লাগে। ১৯৯৯ সালে মেটালিকা সিম্ফোনি অর্কেস্টার সাথে গান গায় মাইকেল কামেনের নির্দেশনায়। মাইকেল কামেনের ১০০ জনেরও বেশি স্টাফ গানগুলো অন্যান্য বাদ্যযন্ত্রের সাথে পরিবেশন করে। কনসার্টির ভিডিও ফুটেজ ও অডিও বের হয় ১৯৯৯ সালে ও বিলবোর্ডের ২য় স্থান দখল করে। ২০০১ সালে জেমস হেটফিল্ড অ্যালকোহলে আসক্তির জন্য মাদক পুনর্বাসনকেন্দ্রে ভর্তি হয়। ফলে তাদের নতুন অ্যালবাম রেকর্ডিং অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। এমটিভি-এর মতে মেটালিকা ৩য় গ্রেটেস্ট হেভি মেটাল ব্যান্ড।

বর্তমান সদস্য

  • জেমস হেটফিল্ড
  • লারস উলরিখ
  • কারক হ্যামেট
  • রবার্ট ট্রুজিলো

ডিস্কোগ্রাফি

  • কিল এ্যাম অল (১৯৮৩)
  • রাইড দ্যা লাইটেনিং (১৯৮৪)
  • মাস্টার অব পাপেট(১৯৮৬)
  • এ্যান্ড জাস্টিস ফর অল(১৯৮৮)
  • মেটালিকা(১৯৯১)
  • লোড(১৯৯৬)
  • রিলোড(১৯৯৭)
  • সেইন্ট এ্যাঙ্গার(২০০৩)
  • ডেথ ম্যাগনেটিক(২০০৮)

 


 

 

 

 

 

 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন